থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস


থার্টিফার্স্ট নাইটে ইসলাম কি বলে থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত আজকের আর্টিকেল এ ৩১শে ডিসেম্বর রাত্রি ১২টা ১ মিনিটেএই থার্টি ফাস্ট নাইটের উৎসব পালন করা হয়। নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানাতে এবং পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে।

থার্টি-ফার্স্ট-নাইট-এর-ইতিহাস

এই নববর্ষ পালনে ভিন্ন রীতি নীতি থাকলেও পাকাপোক্ত ভাবে একলা জানুয়ারি নববর্ষ রেওয়াজ শুরু করা হয়  আমাদের দেশে ২০০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে নিলেনিয়াম সহস্রাব্দ পালনে মধ্য দিয়ে সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। 

পেজ সূচিপত্রঃ থার্টিফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস 

থার্টি ফাস্ট নাইট এর ইতিহাস

অনেক বিরল থার্টি ফাস্ট নাইটের ইতিহাস। ৪৬ খ্রিস্টাব্দ পূর্ব সালে জুলিয়াস সিজারের হাত ধরে। এই নববর্ষ উদযাপিত হয়। সম্রাট জমসিদ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পূর্ব সালে এই নওরোজের প্রচলন করেছেন। বলা যায় এই ধারাবাহিকতায় নওরোজ উৎসবগুলো পালন করা হয়।উৎসবটি পালন করা হলেও দেখা যায় মুসলিম দেশে এর উৎসবটি পালন করা হয় না। 

খ্রিস্টাব্দেও সংস্কৃতি বছরের শেষ রাতের মধ্যরাতে এই উৎসব পালন করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এই উৎসবটাকে অবুঝ বলে ঘোষণা করা হয়। আমরা জানতে পারবো থার্টি ফাস্ট নাইট ডে ইসলাম যা বলে এ সম্পর্কে। প্রত্যেকটি মুসলমানদের জন্য জানা উচিত যে থার্টি ফাস্ট নাইটের ইসলাম এর সম্পর্কে।
কুরআনের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা এই সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। যে ব্যক্তি ইসলামকে অমান্য করে এবং অন্য ধর্ম পালন করে কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে না পরকাল এবং সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাও বলেন।

যে ব্যক্তিগণ পণ্য যাতে রীতি নীতি এবং আচার-আচরণ সংস্কৃতি সভ্যতা সমানসো করিবে সেই ব্যক্তি দলগুলোর তো বলে এদেরকে বিচিত করা হইবে। শুধু কি এই জাতীয় সংস্কৃতি নয় কোন মুসলিমদের সাহায্য গ্রহণ ও করতেন না নবীজি।

থার্টি ফাস্ট নাইট কি 

খ্রিষ্টাব্দ বর্ষ অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর মাসের রাত বারোটা এক মিনিট কে থার্টিফার্স্ট নাইট বলা হয় এই রাতকে উদযাপন করা হয়। এক কথা বলা যায় পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগতম জানাতে থার্টিফার্স্ট নাইট এর উৎসব পালন করে মানুষ। 

এই রাতের উৎসব পালনে মেতে ওঠে মানুষেরা নেশা ও অবোধ কাজে জড়িয়ে পরে। খাবার অপচয় এবং অন্যান্য আয়োজন গুলো ভেসে যায় প্লাবনে। সারা বিশ্বে মুসলিম মনিষী গণেরা এই দিবস পালনে অপসংস্কৃতি কে অভিহিত করে হারাম হিসেবে। 

থার্টিফার্স্ট নাইট হারাম কেন

ফাস্ট নাইটকে হারাম বলে অভিহিত করা হয় কারণ এ থার্টিফার্স্ট নাইটে মানুষেরা বেলাল লা, মদ পান, আতশবাজি পটকা, বান্ধবীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি, ইত্যাদি। যেগুলো ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ হারাম বলে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেগুলো এই থার্টিফার্স্ট নাইট ইসলামিক এর বিপরীত কাজগুলো থার্টিফার্স্ট নাইটে ঘটে থাকে। যেগুলো সম্পূর্ণরূপে হারাম। 

থার্টি-ফার্স্ট-নাইট-এর-ইতিহাস

আতশবাজি ফোটকা এগুলো মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি তৈরি করে। যেটা মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। রাতে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো এবং মানুষকে বিভ্রান্তই ফেলা যেটা ঠিক নয়। ফাস্ট নাইটের এই উৎসব পালনের জন্য মধ্যরাতে আতশবাজি সহ ফাটানো শুরু হয়। 

থার্টিফার্স্ট নাইটে ইসলাম কি বলে 

থার্টিফার্স্ট নাইট ইংরেজি বছর বা বছরের পালাবদল বলা হয় থার্টিফার্স্ট নাইট কে। ডিসেম্বর মাসের শেষ এবং জানুয়ারি মাসের প্রথম প্রহোরে এ থাটি ফাস্ট নাইট এর উৎসব শুরু হয়। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষেরা নানা আয়োজনের মাধ্যমে এ থার্টি ফাস্ট নাইটের দিনটাকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজন তাছাড়া আপনি পালন করে। 

এই উৎসবটি ৪৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব বা বলা যায় ৪৬ সালে সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসব পালন করে জুলি আশ সিজার।যেটা গেডিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তনের পর পহেলা জানুয়ারির নববর্ষের এই দিনটি কাপুক্তভাবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৫২ সালে। এভাবে ধীরে ধীরে ইউরোপ সহ আরো বিভিন্ন দেশে এই গ্রেগরিয়াকের ক্যালেন্ডার গুলো অনুযায়ী ফলো করা হচ্ছে আর এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিশ্বে  নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। 

থার্টিফার্স্ট নাইট এর অর্থ কি

থার্টিফার্স্ট নাইটকে ইংরেজি বচ্ছরের পালাবদল বলা হয়। ডিসেম্বর মাসের পহেলা জানুয়ারি শুরু হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায় এর মানুষ গুলো বিশেষ করে দেখা যায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই ধরনের নানা আয়োজনে মাধ্যমে থার্টিফার্স্ট নাইট এর এই উৎসব বিশেষ ভাবে পালন করে।

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পানিত করা হয় থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসব গুলো। এ থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসবে ছেলে মেয়ে ছোট বড় প্রাপ্তবয়স্ক সকলে অপেক্ষা করে রাত বারোটা এক বাজবে কখন। এই সময় আতশবাজি ফটকা ফাটি থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপিত করা হয়।


এই উৎসব পালন করতে গিয়ে অনেক মানুষ বুঝতে পারে না যে তাদের নিজেদের কতটা ক্ষতি হচ্ছে। অনেক ধরনের নেশাদ্রব্য পান করে গুনাহর সাগরে ভাসে মানুষ এই থার্টিফার্স্ট নাইটে তাই আমরা একটি রাত উদযাপন থেকে সকলে বিরত থাকবো।

বাংলাদেশের প্রসার থার্টিফার্স্ট নাইট

বিগত ২৪ বছর আগে থার্টি ফার্স্ট নাইট বাংলাদেশে প্রসার হয়েছে। ২০০০ সালে মধ্যরাতে মিলেনিয়াম পালনে মধ্য দিয়ে এই ৩১শে ডিসেম্বরের এই উৎসবটি শুরু হয়। মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ পরিবারের মানুষগুলো থার্টিফার্স্ট নাইট এ গা ভাসায় নাচ গানের মধ্যে দিয়ে। তারা নিজেরা হারিয়ে যায় গুনাহতে। বলা যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম অনুযায়ী ইসলাম মানব দন্ডতে কখনোই বদ্ধতা রাখে নাই। 

পোশাক ও ট্যাটু আঁকা

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনেক মানুষ পোশাকে আর্ট করা এই ধরনের পোশাকগুলো পরিধান করে। এবং অনেক জনে আবার ট্যাটু আঁকায় যেগুলো শরীয়তের দৃষ্টি কোণ থেকে কবে করছিস জায়েজ নয়। আমার এই উৎসব উপলক্ষে অনেকেই নিত্য নতুন ধরনের ডিজাইনের ড্রেস প্রধান করে যেগুলো দেখতে অনেকটাই বিশ্রি ধরনের। 

এই ধরনের আর্ট করা পোশাক গুলো আমরা পরিধান করা থেকে বিরত থাকি। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় এবং হাদিসে উল্লেখযোগ্য যে ব্যক্তিরা এই ধরনের পোশাক এবং শরীরে ট্যাটু আঁকা এরা প্রবেশ করতে পারিবেনা জান্নাতে। যে ব্যক্তিরা এই উদ্ভট কাজগুলো করে নেয় বা করে দেয় তারা দুজনেই সমান ভাবে দায়ী। তারা দুজনে সমান পাপের দায় ভোগ করবে। থার্টি ফাস্ট নাইট এর এই একটি রাত থেকে আমরা নিজেদেরকে দূরে রাখি। 

শেষ কথা: থার্টিফার্স্ট নাইটের ইতিহাস 

থার্টিফার্স্ট নাইটের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেলে। ইসলামিক ব্যাক্তিরা কখনোই এই থার্টি ফার্স্ট নামক সংস্কৃতিক ধর্মীয় সমর্থন করতে পারে না। এই উৎসবে নিজেকে লিপ্ত না করে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা মুমিনদের জন্য ভালো।

আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা অর্জন করা নিয়ে ইবাদতের কাজ। পরিশেষে এটাই বলা যায় যে মুসলিম হিসেবে এই উৎসব অর্জন করে আমরা সকলে। এবং এই থার্টিফার্স্ট নাইট কে না বলি এবং আল্লাহ তায়ালার ইবাদত পালন কর্রব

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url