কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় পেটের চর্বি কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম নিয়মিত খাবার খাওয়া খেয়াল রাখতে হবে যাতে আমরা অধিক পরিমাণে খেয়ে না ফেলি। অন্য মানুষকে হয়ে খাবার না খাওয়া। শাকসবজি খেলে পেটের চর্বি কমে।
বাড়তি মেদের থেকে মুক্তি মিলবে পেটের চর্বি জমলে তা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ব্যায়াম আর খাদ্য তালিকার দিকে নজর দেয়। যেসব সবজি তো খেলে পেটের মেদ ঝরে যাবে। সবগুলোতে পরিমাণের পুষ্টির উপাদান থাকে সেই শাকগুলো খেলে পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাক।খুদা ও খাওয়ার ইচ্ছা শতাংশ কমে যায়।
পোস্ট সূচিপত্র: কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
- সকালের ছয়টি অভ্যাস পেটের চর্বি কমানোর জন্য।
- মনোযোগ সহকারে খাবার খাওয়ায় নিজেকে অভ্যস্ত করা।
- নিজেকে অভ্যস্ত করুন প্রতিদিন সকালে করায়
- নিয়মিত না ঘুমানোর কারণে যে সব সমস্যা হয়
- সকালের নাস্তায় প্রোটিন যুক্ত খাবার
- যে খাবারগুলো খেলে পেটের অতিরিক্ত চর্বি কম করে
- যেসব সবজি খেলে পেটের চর্বি কমে
- বড় প্লেটে না খেয়ে ছোট প্লেটে খাওয়ায় নিজেকে অভ্যস্ত করুন
- বেশি খাবার খাওয়া যাবে না সৌজন্যবোধ থেকে
- নিয়মিত ঘুমের রুটিন এ নিজেকে অভ্যস্ত করুন
সকালের ছয়টি অভ্যাস পেটের চর্বি কমানোর জন্য
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় যাদের পেটে ও শরীরে সহজে চর্বি জমে। কতো কিছুই না করে তারা এর জন্য। তবুও কমাতে পারে না। তাদের পেটের এই চড়বে স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর সমস্যার কারণ ও হতে পারে। যেকোনো জায়গায় চর্বি থেকে ও পেটের চর্বি বেশি বিপদ জনক হয়ে উঠতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ লিভার সমস্যার ঝুঁকিতে ও ফেলতে পারে। এই চর্বি কম আছে যদি গ্রাম ছাড়াতে হয়ে থাকেন তাহলে সকাল বেলার প্রতিদিনের অভ্যাসে নিজেকে গড়ে তুলুন। পেটের চর্বি দ্রুত কমে যাবে।
মনোযোগ সহকারে খাবার খাওয়ায় নিজেকে অভ্যস্ত করা
আপনি যখন খাবার খাবেন তখন সম্পূর্ণ মনোযোগ খাবারের দিকে দিয়ে খাবার খান। সেই খাবারের প্রতিটি কামড়ের স্বাদ আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। আপনি খাবারটা দ্রুত না খেয়ে নিজেকে ধীরে খাওয়ায় অভ্যস্ত করে তুলুন নিজেকে। রুচি সহকারে খাওয়া ক্ষুধা নিবারণ করে অতিরিক্ত হাওয়া রোধ করে চর্বি জমে কমপেটে খাওয়ার সময় ফোন বা ভিডিও দেখে না খেয়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ খাবারে দিতে হবে।
নিজেকে অভ্যস্ত করুন প্রতিদিন সকালে পানি পান করার
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস বিয়ের দিন শুরু করেন এবং হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন। এই হালকা গরম পানি শুধু আপনার শরীরকে বাজেট করে না বরং এটা উপকারিতা দেয় হজমে সহায়তা করে আপনার দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। খুব কম সময়ে ভালো ফলাফল পাবেন। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কতটা উপকার পেলেন।
নিয়মিত না ঘুমানোর কারণে যেসব সমস্যা হয়
নিয়মিত ঘুম ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। মানুষের শরীরে হরমোন নিয়ন্ত্রণের ব্যাঘাত ঘটায় ঘুম। যার ফলে ক্ষুধা মাত্রাটা বেশি বাড়ে। এর জন্য পেটে চর্বি জমে। সেজন্য বলা যায় নিয়মিত প্রতিদিন সাত ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করে তুলতে হবে নিজেকে। তবে আপনি নিজের শরীরে পরিবর্তন আনতে পারবেন।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করা
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। নিয়মিত ব্যায়াম পেটে চর্বি কমানোর কার্যকর উপায়। প্রতিদিন সকালে মিনিমাম ৩০ মিনিটের জন্য হলেও নিজেকে ব্যায়ামে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। যাতে পেটের চর্বি না পারে নিজেকে ফিট করে রাখা যায়।
সকালের নাস্তায় প্রোটিন যুক্ত খাবার
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। আপনি আপনার সকালের নাস্তায় ডিম রাখুন। ডিম দিয়ে শুরু করুন সকাল। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ায় নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এই খাবারটি হজম করতে হয়তো সময় নেই কিন্তু এতে অনেক বেশি ক্যালোরি পাওয়া যায়। আপনি যদি সকালে না তাই প্রোটিন যুক্ত খাবার খান তাহলে এতে দের শর্করার স্থির থাকবে।
যে খাবার গুলো খেলে পেটে অতিরিক্ত চর্বি কম করে
চর্বি হচ্ছে পেটের বেশি রোগের বাসা। কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। রোগের বাসা বলা হচ্ছে চর্বিকে।আমাদের সুস্থ থাকতে হলে পেটের বেশি চর্বি তুমি ফেলতে হবে। যাতে আমরা নিজেদেরকে আসতে পারি। আমাদের সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে হবে। খাবার খাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তো আপনি যদি জমে থাকা বাদ দিয়ে চর্বি অনিয়ন্ত্রণ খাদ্য অভ্যাস যখনে হাত ধরে আমাদের শরীরে জমে বাড়তি চর্বি।
কাজু বাদাম খেলে কি হয়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। আমরা অনেকেই জানিনা কাজুবাদাম খেলে কি হয় এবং কাজুবাদাম এর উপকারিতা। আমাদের শরীরে যে প্রয়োজনীয় তেলের যোগান দেয় কিছুটা মিটিয়ে দিতে পারে কাজুবাদাম। তাই আমাদের প্রতিদিন তিন থেকে চারটা কাজু বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।
কিসমিস খেলে কি হয়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। কিসমিস খেলে কি হয় কিসমিস স্বাদের মিষ্টি বলে অনেকেই মনে করে এটি ফ্যাট। সেজন্য এই খাবারটাকে সরিয়ে রাখে। কিন্তু আসলে চর্বি এর ভূমিকা অসীম।কিসমিস খেলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘুরতে শুরু করে শরীরে। এটা শেষের হার কমায় খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই কিসমিস রাখতে হবে চার পাঁচটি।
খেজুরের উপকারিতা
খেজুরে কি আছে খেলে কি হয়। খেজুরে আছে উচ্চ ক্যালরির ডায়িটের বিশেষ কাজ করে। ক্যালরি বেশি থাকাই সহজে ঘরে বলে কম লাগে এক্ষেত্রে অনেকক্ষণ খিদে কমিয়ে রাখে। তাই প্রতিদিন ৪-৫টি খেজুর খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এতে ওজন কমে।
আরো পড়ুন: যেসব সবজি খেলে পেটের চর্বি কমে
লাউ: লাউ এর ক্যালরির পরিমাণ কম হওয়ায় কিন্তু পানির পরিমাণ বেশি।এইজন্যে লাউ চর্বি কমানোর আদর্শ খাবার। লাউয়ের বেশি পানি সাতাই আজ জাতীয় পদার্থ দ্রুত ভরিয়ে তোলে এবং ক্যালরি বহনের অনেক বেশি কমিয়ে দেয়।
গাজর: বেশি পেট ভরা থাকে কেন্দ্রের পরিমাণ কমে। গাজরে আসে পরিমাণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিজেনের উপাদান ভিটামিন প্রচুর। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম।
ফুলকপি: এই ফুলকপি ওজন কমায় কিন্তু এতে রয়েছে ক্যালকির পরিমাণ এবং আঁশ বেশি তাই বলায় যায় ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে কিন্তু ফুলকপিতে আছে ইন্দোলের কয়েকটি যৌগ যেটি মেদ কমায় পেটের।
করলা: করলাতে তো সাধের কারণে করোনা সবার পছন্দ না। কিন্তু এই করেলায় আবার কিছু কিছু মানুষের অনেক ফেভারেট। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টেনশন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। করলায় শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে পেটের মেদ কমে। কিন্তু এ করোলা বেশি তেতো হলেও রান্না করা করোলার করোলার জুস ও কিন্তু মটা পেট কমাতে সাহায্য করে অনেক।
শসা: আমরা অনেকেই জানি শ্বশুর-শাশুড়ি ও ত্বক কারি সবজি। শরীরে পানির পরিমাণ বেশি বাড়ায়। এই শসা শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের করে দিতে সক্ষম হয়।
পালংশাক: অনেক উপাদান থাকে পালং শাকে।পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাকে পালং শাক খেলে। পেটের ক্ষুধা কমায় তাই বলা যায় যে প্রেমের ক্ষমার দের প্রতিদিনের খাবারের পাশে থেকে পালং শাক ওবার ফোন এতে আপনার উপকার হবে।
বড় প্লেটে না খেয়ে ছোট প্লেটে খাওয়ায় নিজেকে অভ্যস্ত করুন
বড় প্লেটের খাবার খাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্লেট নয়। প্লেটের আকার বড় হলে সেই প্লেটে খাবারে পরিমাণও একটু বেশি হয়। ধারণা তো দেখা যায় সিলেটের আকার বড় হলে সে প্লেটে খাবারের পরিমাণটাও একটু বেশি নেওয়া হয়। সেই খাবার রেখে ওঠা যায় না সেক্ষেত্রে পুরো খাবারটুকু করেই উঠতে হয়। সেজন্য পরিমাণের চেয়েও বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এভাবে পেটের মেদ বাড়ে।
বেশি খাবার খাওয়া যাবেনা সৌজন্যবোধ থেকে
অনেক সময় দেখা যায় এই দাওয়াত খেতে গেলে সজনা বোধ এর থেকেও বেশি খেয়ে ফেলা হয়। যেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর মধ্যে আবার অনেকেও ভরা পেটেও খাবার অর্ডার দিয়ে বন্ধুদের সাথে সেই খাবার ও খেয়ে নেয়। এমন ধরনের অভ্যাসগুলো ওজন বাড়ে দেয় এবং ভুড়ি মেদ বাড়ায়।
নিয়মিত ঘুমের রুটিং এ নিজেকে অভ্যস্ত করুন
বেশি অতিরিক্ত খাওয়া খাবারে ক্যালরি শরীরের মেদ হিসেবে যে জমা হয় এটা ঘুম ডাকলে এসে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হওয়ার সম্ভব হতো না। গবেষণায় দেখা গেছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে আছে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটি সম্পর্ক থেকে যায়। রাত জাগলে খিদার পরিমাণটা বাড়ে তখন কিছু একটা খেতে মন চায় আর এভাবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে সেই খাবার গুলো শরীরের মেদ হিসাবে জমা হয়।
কাজের প্রতি নিজেকে একটিভ করা
আমরা যদি ভেবে থাকি যে রাতারাতি শরীর চর্বি কমানো যাবে এ আশাটি করা ভুল। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও নিজেকে কাজের মধ্যে একটিভ করলে শারীরিক পরিশ্রম করলে। কিছু গাইডলাইন মেনে চললে না গিয়ে ঘরে বসে মেদ কমানো সম্ভব।
খাবার খেতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ
সকালের নাস্তায় যদি ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া হয় এই খাবারটা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের অতিরিক্ত মেদ কমায়। এবং নিজেকে ফ্যাট হওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করে।সবজি কে বেছে নিয়ে খেতে হবে। যে খাবারে খাইবার আছে।
লো - ফ্যাট যুক্ত খাবার কম খাওয়া
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এমন খাবার খায় যেগুলোতে চর্বি নেই। এবং আমারা অনেকে মনে করে থাকি যে কম চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। কিন্তু আমরা অনেকে জানি না যে এ কম চর্বিযুক্ত খাবারই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকার হয়ে উঠতে পারে। যখন কম চর্বিযুক্ত খাবার খাবে তখন কিছু মানুষের কাছে মনে হতে পারে যে তার খাবারের স্বাদ কম হয়ে গেছে।
খাবারের মধ্যে অনেক কোম্পানি থাকে যে বেশি চিনি যুক্ত করে খাবার বিক্রি করে খাবারের স্বাদ বারাতে। সেই খাবারগুলো আপনার জন্য ভালো নাও হতে পারে।গেল যে এই ধরনের খাবারগুলো থেকে আপনার পেটের মেয়াদ বেড়ে গেলো।খাবার কেনার আগে চেক করে নিতে হবে সেই খাবারের লেবেলটি কেমন এতে অতিরিক্ত চিনে আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে খাবার কিনতে হবে। রাতে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোনো রিঅ্যাক্ট না হয়।
আরো পড়ুন: নিয়মিত প্রতিবেলা খাবার খাওয়া
আমরা অনেকে মনে করে যে সকালবেলায় জলখাবারে হালকা কোন কিছু খেলে হয়। ভারিযুক্ত খাবার না খেলেও চলে। কিন্তু আমরা যখন একটি খাবার বাদ দিয়ে তখন আমাদের স্বাস্থ্য অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে পরিণত করে।
অনিয়মিত খাওয়ার কারণে পেটের মেদ বাড়ে। সে জন্য কোনো খাবার বাদ না দাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খেয়ে পেটের মেদনা বাড়ে খেয়াল রাখতে হবে যাতে খাবার বাদ না দেওয়া হয়। এবং উদ্ভট কোনো খাবারগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এভাবেই সম্ভব আমাদের পেটের চর্বি কমানো
উপসং হারঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এই সকল আলোচনা থেকে এটাই বোঝা যায়। যে পেটের চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য আমাদের কি করতে হবে এবং অতিরিক্ত পেটের চর্বি বা মেদ হওয়ার কারণ কি হতে পারে। পেটের চর্বি কমানোর উপায়গুলো শুধু পেটের চর্বি কমাবে না এমনটা ভাবা সঠিক নয়। এটা আমাদের শরীরে আরো অন্যান্য রোগ ব্যাধি গুলো ও কিছু টা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url