অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা


অনেকে ভেবে থাকে কম পুজি দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব না। তাদের মধ্যে অনেকে আবার আছে যারা কম পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে বর্তমানে অনেক টাকার মানুষ। এবং বিপুল অর্থ সম্পদ অর্জন করেছে। নিজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে ব্যবসা বড় করা সম্ভব। ব্যবসার প্রতি আগ্রহ থাকাটাও জরুরি। 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। বাস্তব জীবনে কিছু করতে হলে বিপুল পরিমাণে পরিশ্রমই এবং ইচ্ছা শক্তি কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখা ও বেশি গুরুত্ব পূর্ণ। স্বল্প পুঁজি দিয়ে কাজ করা শুরু করতে হবে এবং আপনাকে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে দক্ষতা বেশি তবে ব্যবসায়ী লাভজনক হবে। 

পোস্ট সূচিপত্র: অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা 

শিক্ষকতা করা অনলাইনে 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা। অনলাইন থেকে নিজের পছন্দমত কাজ করা যায়। অনেকে আবার হতাশ হয়ে যায় যে অনলাইনে কিভাবে কাজ করে। এতো অনেকে জানে না দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আমরা নিজেরা নিচের পছন্দমত ঘরে বসে মোটামুটি আয় করতে পারবো। এটা হতে পারে পড়াশোনা বা ভাষা শিখা বাদ্যযন্ত্র যেকোনো দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল বা পেজ ফেসবুক আইডি এগুলো থেকে আয় করতে পারবেন। 

বিভিন্ন পোর্টাল রয়েছে শিক্ষকতার সুবিধা। এতে খুব সহজেই শুরু করা যায় শিক্ষকতা। এজন্য ভিউ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এই সাইটটিতে রয়েছে অনলাইন টিচিং মার্কেট প্লেস সাইট অ্যাপ। এই ধরনের ভিডিও আপলোড করে ব্যবসা করা যায়। বিভিন্ন সাবজেক্ট ভিডিও লো অডিও প্রেজেন্টেশনের আকারে আপলোড দিয়ে করা সম্ভব কোর্স। 

আরো পড়ুন: হোম ডেলিভারি করা খাবারের 

স্বল্প পুঁজি দিয়ে লাভজনক ব্যবসা। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী বাটুরে ঘুরতে গিয়ে এগুলোতে তো খাবার তৈরি করা বা অনেকেই সে ব্যবস্থা থাকলেও খাবার তৈরি করতে চায়না এদিক থেকে হোম ডেলিভার নেই খাবারের। এতে ডেলিভারির বয়রা ও টাকা পাই খাবার ডেলিভারি দিয়ে এটা হল স্বল্প পুঁজির ব্যবসা। আবার দেখা যায় ছোট্ট পরিবার এরাও হোম ডেলিভারি করে থাকে অনেকেই হোম ডেলিভারির ব্যবসা ১০ হাজার বাপনের হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে এই ব্যবসা। ডেলিভারি এ খাবার যত টেস্টি সুস্বাদু হবে এই ব্যবসা থেকে তত বেশি লাভজনক করা সম্ভব। 

ভাষা শিখা বিদেশি: আপনার যদি বিদেশী ভাষা জানা থাকে তাহলে আপনি এই দক্ষতার ওপর ব্যবসা তৈরি করতে পারেন তবে হতে পারে এটা ছোট থেকে বয়স্ক এবং বিভিন্ন বয়সের ছাত্র-ছাত্রী হতে পারে। সেগুলো বিনা নিয়োগে আয় করা সম্ভব বা করতে পারেন এই ব্যবসায় লাভজনক। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্যশীল এবং বিশ্বাসী হতে হবে নিজেকে তবে সম্ভব হবে এই স্বল্প খরচের ব্যবসাকে বড় করা স্বল্প পুঁজি দিয়ে লাভজনক ব্যবসা করা। 

কন্টেন্ট রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কনটেন্ট লিখে এ কনটেন্ট বিক্রি করে আর টাকা পাওয়া যায়। হতে পারে টাকার পরিমানটা কম কিন্তু এটি বিক্রি করে লাভজনক হওয়া সম্ভব হয়। কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনেকে লাভবান হয়েছে এই ছোট্ট ব্যবসা থেকে লাগছে না হচ্ছে মানুষ তাই আপনিও চাইলে আর্টিকেল রাইটিং এর কন্টাক্ট লিখে অনলাইনে এটি বিক্রি করে আপনি আপনার ব্যবসা কে বড় করতে পারেন। 

আরো পড়ুন: অনলাইন বেকারি ব্যবসা 

আমাদের আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবের বা বিয়ার এনিভার্সারি তে কেকের যে অর্ডার দেওয়া হয় আপনি চাইলে আপনার তৈরি করা কে বিক্রি করতে পারেন তাদের কাছে এই ব্যবসা আপনি বড় করতেও পারেন তবে আপনার তৈরি কেকটা যদি খেতে সুস্বাদু হয়। 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা। তাহলে আপনার ব্যবসা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে এবং আপনিও এতে লাভবান হতে পারবেন।এই কেক আপনাকে একেবারে ক্রেতাদের বাসায় পৌঁছে দিতে হবে এভাবেই কাজ করলে কথায় নেই এবং আপনি প্রতিদিনে নতুন খাবার তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন এই খাবারের স্পেশালি ভাবে তৈরি করতে চেষ্টা কর। নিজের বাসায় বসেই এই কেক কুকিং খাবার তৈরি করে বিক্রি করুন। 

অনলাইন হস্তশিল্প বিক্রি সামগ্রীয় 

আমাদের দেশে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণের হস্ত শিল্পের ব্যবস্থা। যারা এটি থেকে লাভবান হয় এটি কম টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব এ হস্ত শিল্প শুরু করতে ছোট ঘর সাজানোর জন্য যেসব সামগ্রী জিনিস সংগ্রহ করতে হয় হতে পারে সেগুলো গয়না সামগ্রী শিল্পরা কম দামে বিক্রি করে এবং নেই গ্রাহকরা। শিল্পদের তৈরি জিনিস এজন্য স্বল্প খরচে বস্ত্র থেকে ব্যবসাকে লাভবান করা সম্ভব। 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা

দর্জির দোকান: এটি ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায় এ ব্যবসা শুরু করা করতে হলে আপনাকে কঠোরভাবে ভাবতে হবে কিভাবে এ দর্জি দোকান বড় করা সম্ভব এজন্য আপনার মধ্যে থাকতে হবে দক্ষতা  এবং আপনি চাইলে আপনার বাড়ি থেকে ব্যবসা করতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্রেতারা আপনার বাড়ি গিয়ে 

আপনার ডিজাইন বা মাপ দেবে এক্ষেত্রে আপনি নিজের বাড়িতে বসেই ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে নিত্য নতুন ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। সেখান থেকে ডিজাইন চুজ করে টার্গেট অনুযায়ী কে তার রুচিশীল ড্রেস তৈরি করে দিতে হবে। 

বিউটিশিয়ান ব্যবসা: এটা আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই করতে পারেন। অনলাইন টা হল যেখানে আপনি এর মাধ্যমে হতে পারে সেটা ফেসবুক পেজ এসব গুলোতে প্রোডাক্ট এর ভিডিও এবং সেই প্রোডাক্ট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে কখন কখন এ যাবতীয় বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে সে ভিডিও  আপলোড অনলাইনে ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা। আর অফলাইন টা হল একটু ভালো নির্দিষ্ট জায়গা দেখে বা নিজের পাশে আপনি বিউটিশিয়ান এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিউটি পার্লার খুলে সেখানে গ্রাহকদের সেবা দিতে পারেন। যেমন হেয়ার,ফেস লুক এবং নিজেকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলতে অনেকেই বিউটি পার্লার এ যায় আপনিও এ ধরনের ব্যবসা লাভবান হতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতার থাকাটা জরুরী। 

স্কুলে নাচ গান: এগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোন একটি অভিজ্ঞতা থেকে থাকে এসে দক্ষতা অনুযায়ী আপনি কোন বিনিয়োগ ছাড়া আয় করতে পারেন। কেমন হয়েছে যদি আপনি আপনার বাড়িতে একটি স্কুল খুলেন পারেন রুম। সে ক্ষেত্রে দেখা গেল আপনি চাইলে সাথীদের বাড়ি গিয়েও খেতে পারবেন নাচ গান একাকী করার ট্রপিক গুলো। এভাবে বাড়তে থাকবে আপনার পায়ের পথ। 

আরো পড়ুন: ফুলের দোকানের ব্যবসা 

এই ফুলের দোকানের ব্যবসা মানুষ খুব কমই করে। সেজন্য আমাদের চোখে খুব তাড়াতাড়ি পড়ে বা সাকসেস হয়  যেগুলো কম পরিমাণে এবং চাহিদা অনেক পরিমানের বেশি এরকম ফুলের ব্যবসা মানুষ কম করলেও এই ব্যবসা চাহিদা বেশি। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলেও এরকম একটি ফুলের দোকান বা ফুল। 

নিজের দোকানে রেখে বিক্রি করতে পারেন বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ ফুল দিবস উপলক্ষে ও বেশি বিক্রি করা হয় এতে মানুষের বিপুল পরিমাণে চাহিদা থাকে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফুলের সংকট হয়ে যায় যেখানে দোকান আলারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুল দিতে পারে না কে তাদের। 

অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবসা 

মানুষ বেশি পছন্দ করে অনলাইনে জিনিস কিনা  দোকানে না গিয়ে। এমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে কম খরচে অনেক ভালো প্রোডাক্ট পাওয়া সম্ভব হয় অনলাইন শপ। এ সম্পর্কে যদি আপনি ধারণায় সহজে বুঝতে পারেন বা অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি খুব কম সময়ে ইনকাম করতে পারবেন। এতে খরচের তুলনা কম হলেও এ ব্যবসাকে বড় করে আরো বেশি ইনকাম করা সম্ভব। জন্য শপিং ওয়েবসাইট বানাতে বেশি  টাকা লাগেনা। ১০ থেকে এই একটি শপিং স্টোর তৈরি করা সম্ভব। 

দোকান মোবাইল রিচার্জের

আপনার কোন ধারণা নেই যে কিভাবে আপনি নিজের ব্যবসা দাঁড় করাবেন। তবে আপনি নিজে চাইলে একটি ছোট মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে প্রতি এটা মানুষের হাতে মোবাইল রয়েছে। আপনি আপনার এই স্বল্প খরচের ছোট্ট ব্যবসাটি ফেক্সিলোড, বিকাশ পেমেন্ট, নগদ একাউন্ট খোলা, এই কাজগুলো করতে পারেন এগুলো স্বল্প পুঁজি নিয়ে করা সম্ভব। 

রিচার্জ কার্ড নেটওয়ার্ক কোম্পানির রিচার্জ কার্ড রাখার সাথে সাথে পোস্ট পাইড সিম বের করার কাজটাও করতে পারবেন। মোবাইলের কিছু জিনিস। বিদ্যুতের দ্রব্য সামগ্রীয় জিনিস ঘরওয়ালিং করার জিনিস। ওগুলো নিজের দোকানে রেখো বিক্রি করতে পারেন। 

আরো পড়ুন: ডিলারশিপ স্টেশনারি বা কাগজের দ্রব্য 

আপনার জন্য হতে পারে এই স্বল্প খরচের ব্যবসাটাই আপনার ঘুরে দাঁড়াবার চাবিকাঠি। বিজনেসের আইডিয়া। নানা ধরনের পণ্যের মধ্যে পড়ে এই এর বিজনেস আইডিয়া। যেমন আর্ট পেপার, খাতা, পেন্সিল, ইত্যাদি দ্রব্য সামগ্রীয় এগুলো নিয়ে শুরু করতে পারেন খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না এ ব্যবসা গুলোতে। 

বইয়ের ব্যবসা: একটি ছোট দোকান তৈরি করে যেখানে নানান ধরনের বই রেখে বিক্রয় করা সম্ভব কে তাদের পছন্দ অনুযায়ী যদি আপনি বই কালেক্ট করে রাখতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনি ধীরে ধীরে অনেক বড় করতে পারবেন। অনেকের পছন্দ করে গল্প উপন্যাস ইত্যাদি সামগ্রীয় বইগুলো। এবং আপনার কাছে যদি এ বইগুলো না থাকে তাহলে আপনি মাধ্যমে অন্যজনের থেকেও এ বইগুলো কালেক্ট করে নিতে পারেন। এতে আপনি লাভবান হতে পারবেন এবং অন্যজনও হতে পারবে এভাবেই এক সময় আপনার এই ব্যবসাটি বড় হতে থাকবে। 

ডিলারশিপ কিভাবে নিতে হয় 

বাসা শুরুর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির বা প্রোডাক্টের পণ্যকে চিহ্নিত করতে হয়। এবং আপনি কোন এলাকায় এটি বিক্রি করবেন বা কোন এলাকায় এ পণ্যটির চাহিদা বেশি আগ্রহ আছে সেই কোম্পানিতে মেয়ে জিনিস বিক্রি করা হয় সেই লাগাতে এ জিনিসগুলো উপযুক্ত কিনা দামের মাত্রাটা স্বল্প রেখে বিক্রি করতে হবে এই 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা

আইডিয়াগুলো মাথায় রেখে কাজ করলে আপনিও আপনার এ ব্যবসা কে বড় করতে পারবেন এবং কোম্পানি থেকে ডিলার নিয়োগ করতে পারবেন আগ্রহী কিনা সেই কোম্পানির যদি রাজি হয় তাহলে তাদের সাথে একটি চুক্তিবদ্ধ করে তার মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন আপনার এই ডিলারশিপের ব্যবসাটি। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ব্যবসা 

স্বল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা লাভজনক। আমার মনে হয় যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন মানুষ ভালোভাবে কাজে লাগায় তাহলে একজন সরকারি চাকরিজীবী মানুষ যত টাকা বেতন পায় মাসে গ্রাফিক্স ডিজাইনেরা ও বেশি টাকা মাসে আয় করতে সক্ষম হবে। এরকম অনেক কোম্পানি আছে যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের প্রয়োজন পড়ে বেশি।

এই ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলোর সুযোগ সুবিধার বেশি। এক্ষেত্রে ব্যবসার সুবিধা বুঝতে হবে আপনাকে বাজারের চাহিদা কেমন সে অনুযায়ী দক্ষতা এবং কাজের আগ্রহ রাখতে হবে। দক্ষতা এবং এবং উদ্ভাবনে শক্তিকে লাগে হতে পারে এটা আপনার পুঁজি। স্বল্পপুজিকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনার দক্ষতা বাড়বে সাথে আপনার অভিজ্ঞতা ও হবে বাড়বে আই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url