মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মিল্ক শেক এর উপকারিতা। মানব দেহে পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য মিল্কশেক এর উপকারিতা বেশি। বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্যের সংমিশ্রণে এই মিল্ক শেক তৈরি করা হয়। সুস্বাস্থ্য পেতে মিল্কশেক এর উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন এই পোস্টে।প্রাকৃতিক ভাবে ঘরে তৈরি মিল্ক শেক একটি পুষ্টিকর খাবার।
মিল্ক শেক হলো একটি তরল খাবার যা পানীয়। এটি সাধারণত দুধ চিনি, ও বিভিন্ন ফলের রস বা ফলের সাধ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যেমন খেজুর,কলা, আপেল,আঙ্গুর,কাঁঠাল ফলের রস দিয়ে সাধ যোগ করা হয়। ঘরোয়া তৈরি মিল্কশেঁকে একটি পুষ্টিকর খাবার আমারটা আমরা নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে।
মিল্ক শেক এর পুষ্টি গুন
মিল্ক শেক এর উপকারিতা। মিল্ক শেক আমাদের সাস্থের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। এতে অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ থাকে। প্রতি 100 গ্রাম মিল্ক শেকে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে নিম্নে দেওয়া হল
পোস্ট সূচিপত্র :মিল্ক শেকের উপকারিতা
- শ র্করা ১৮ গ্রাম
- প্রোটিন ৩.৯গ্রাম
- সুগার ১৮ গ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ৩%
- ভিটামিন ডি ১২%
- ক্যালসিয়াম ১৪%
- ফ্যাট ১.৯গ্রাম
- ক্যালোরি ১১১.৯গ্রাম
- সোডিয়াম ৯৫ মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম ১৮৩ মিলিগ্রাম
- কোলেস্টেরল ১২ মিলিগ্রাম
হাড় বৃদ্ধিতে
আরো পড়ুন : মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
মিল্ক শেক এর উপকারিতা। মধ্যে অন্যতম হলো এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্টযা মস্তিষ্কে ফ্রি রেডিক্যালের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এজন্য ফ্রুট মিল্ক শেক খেতে পারেন।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
কমলা, স্ট্রবেরি, দুধ খাবার গুলো হার্টের জন্য উপকারী। কারণ এগুলোতে রয়েছে ফ্যাটি যুক্ত উপাদান। এগুলো একত্রে সব খেতে চাইলে ফ্রুট মিল্ক সেক খেতে হবে। এটা হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কার্বোহাইড্রেটের অভাব দূর করে
মিল্ক শেক এর উপকারিতা।এত চিনি কার্বোহাইডেটের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত করা হয়। আর মিল্ক শেক তৈরিতে পরিমিত পরিমাণে প্রয়োজন। পরিমাণ মতো চিনি গ্রহণ করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের শরীরের তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি প্রদান করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।তাই মিল্ক শেক তৈরিতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যোগ করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে আমাদের ফ্রুট মিল্কশেক খেতে হবে এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
মিল্ক শেকের অপকারিতা
এই মিল্কশেকের অপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতার ভাব ফেলতে পারে যেমন
- এলার্জি সমস্যা বাড়তে পারে
- হজমের সমস্যা হতে পারে
- ওজন বেড়ে যেতে পারে
- ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে
- এটি অধিক স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ
বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের যে সব ধরনের সমস্যাগুলো হতে পারে। সেগুলো খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
মিল্কশেক বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সাধের হিসেবে তৈরি করা যায়।ঘরে বানানো যায় এমন মিল্কশেক রেসিপি ও এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লিখে দেওয়া হল
চকলেট মিল্ক শেক
চকলেট মিল্ক শেক বাচ্চাদের জন্য অনেক পছন্দের খাবার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি তৈরি করতে প্রথমে ২ কাপ পরিমাণ দুধ, ৩ চা চামচ পরিমাণ ভ্যানিলা ফ্লেভার, ১টি কলা, ক্যারামেল আইসক্রিমের ক্রিম ও ২ চা চামচ যেকোনো লিকুইড চকলেট। এই সবগুলো উপাদান হালকা পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি পরিমাণ মতো সপ্তাহে দুদিন এটি খেলে মিল্কশেক এর উপকারিতা পেতে পারেন।
খেজুরের মিল্ক শেক
খেজুরের মিল্ক শেকটি ছোট বড় সকলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি তৈরি করতে প্রথমে খেজুরের দানা ফেলে দিয়ে ৪ কাপ খেজুর নিয়ে।পরিমাণ মতো চিনি, ৭২০ মিলি গ্রামের শেষ দুধ, ১কাপ আইস কিউব নিন।এই সবগুলো উপাদান একত্রে ভালোভাবে ব্লেড করে মিশিয়ে নিতে হবে পরে সেটি খেতে হবে।
মিল্কশেক খেলে কি ওজন বাড়ে
মিল্ক শেক খেলে অবশ্যই শরীরের ওজন বাড়বে। কেননা মিল্ক শেকে অনেক পুষ্টিগুণে ভরা শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পুষ্টি উপাদান পূরণ করতে সক্ষম করে। তাই যারা ওজন বাড়াতে চান তারা মিল্ক সেক খেতে পারেন।
মিল্ক শেক এর উপকারিতা। মিল্ক শেক বিভিন্ন কোম্পানি তে বিভিন্ন ধরনের মিল্ক শেক এর দাম বিভিন্ন ধরনের হয়। বর্তমানে খুব বেশি প্রচলিত এলিট কর্পোরেশনের মিল্ক শেক এর বাজার মূল্য ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০পর্যন্ত রাখা হয়।তবে এখানে কোনটি অরিজিনাল বা কোনোটি ডুপ্লিকেট তা বুঝা যায় না।
মিল্ক কার্বোহাইড্রেট
মিল্ক শেক এর উপকারিতা৷ আরেকটি উপাদান যা মিল্কশেক গঠন করে তা হল চিনি। পরিমিত পরিমাণে, চিনি ভালো। চিনি মস্তিষ্কে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। আপনি যদি ফলের মিল্কশেকের মধ্যে স্ট্রবেরি মিল্কশেক চাচ্ছেন তবে এটি ফাই বারের ও একটি একটি ভালো উৎস। বেশির ভাগ ফলের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মিল্ক শেকে প্রোটিন
মিল্ক শেক এর উপকারিতা। দুধপান করলে আমাদের হাড় মজবুত হয়,এটা আমরা আগে থেকেই জানি।কিন্ত কিভাবে জানেন?দুধে প্রোটিন অনু থাকে যার নাম হুই।আমাদের শরীরের প্রোটিন হাড় এবং পেশীতে যাওয়ার জন্য ঘোল অনেক বেশি প্রয়োজন।
মিল্ক শেকে ফ্যাট
আসলে সব চর্বি খারাপ নয়।দুধে উপস্থিত ফ্রাট শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, বিশেষ করে শীত ও ঠান্ডার দিনে।
মিল্কশেক খেলে কি হয় মিল্কশেক এর পার্শ্বপ্রক্রিয়া কি
মিল্ক শেক এর উপকারিতা। মনে প্রশ্ন ছিল না সে খেলে কি ওজন বাড়ে। মিল্কশেক গুলোতে প্রায় সব সময় দুধ, বরফ, এবং কে তবে এতে বাটার স্কচ,চকলেট সিরাপ এর ফলে সিরাপ গুলোর মত উপাদান গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এই জাতীয় উপাদান গুলোর সাথে বিশেষ করে মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি চর্বিযুক্ত দুগ্ধ জাত পণ্য,এমনকি একটি মিল্কশেক আপনাকে চিনি,চর্বি এবং ক্যালরির প্রস্তাবিত দৈনিক চাহিদার বেশি যেতে পারে।
আপনি যদি নিয়মিত মিল্কশেক পান করেন তবে আপনার ওজন বৃদ্ধি এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি আপনার মিল্ক শেখ কে সামান্য স্বাস্থ্যকর করতে চান তাহলে এটি বাড়িতে তৈরি করুন আরো জানুন মিল্ক শেক এর উপকারিতা সম্পর্কে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url