কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কাঠ বাদামের স্বাদ ও স্বাস্থ্যে গুণের কথা অনেকই হয়তো জানেন।প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম,ফসফরাস, ভিটামিন ই থাকে।যার ফলে ত্বক ভালো থাকে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো,রক্ত চাপ কমানো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেতে পছন্দ করে অনেকে।আবার অনেকের মতে মনে হয় সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে বাদাম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই উপকার গুলো কী কী-
পোস্ট সূচিপত্র :
- সহজে হজম হয়
- বেশি গুণ
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে
- মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি
- হাড় ও দাঁত ভালো রাখে
- পুষ্টির ঘাটতি দূর করে
- শক্তি বাড়াই
- কি পরিমানে বাদাম খেতে পারবেন
- গর্ভবতীর জন্য উপকারী
সহজে হজম হয় :
দেখা গেছে, কাচা বাদামের থেকে ভিজিয়ে রাখা বাদাম অনেক সহজে হজম হয়।এবং খুব সহজেই পেটে গিয়ে ভেঙে যায়। হজমের সহায়ক উৎসচেক গুলো ও কাজ করতে পারে।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
কাঠবাদাম ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয়েছে, খাবারের পর কাঠবাদ খাওয়া ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে :
কাঠবাদাম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে কোলনকে ভালো রাখার কাজ করে।
বেশি গুণ :
ওজন কমাতে সাহায্য করে :
কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে এটি থেকে লাইপেস নামক একটি উপাদান নির্গত হয়। সেটি মেটাবলিজম আজব ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের মেদ বৃদ্ধি পাইনা।
ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়:
কাঠবাদামে ফাইটিক এসিড নামে একটি উপাদান থাকে। আয়রন হজম করতে গেলে এই ফাইটিক অ্যাসিড বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে দুই পদার্থের ব্যবহার হয় না। বাদাম ভিজিয়ে রাখার জন্য ফাইটিক এসিড বের হয়।ফলে তার পুষ্টিগুণ বাড়ে।পুরোপুরি
আরো পড়ুন : মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি
কাঠ বাদামে থাকা পুষ্টির গুণ মস্তিষ্কে ও স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। বাদামে থাকা মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি পুষ্টিগুণ রিবোফ্লাভিন এবং এল ক্যারনিটিন।এ উপাদান দুটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৪ বা ৬টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘটে। এবং এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপকারী ফ্ল্যাট হিসেবে কাঠবাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য কাঠবাদাম অন্যতম গ্রুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।
হাড় ও দাঁত ভালো রাখে :
কাঠ বাদামে থাকা ফসফরাস, মিনারেলও ভিটামিন আর ও দাঁত কে সুরক্ষা দেয়। এবং ফসফরাস কেবল হার ও দাঁত কে মজবুত করে না এটি অস্টিওপরোসিস হাড়ের ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ এর সাহায্য করে। দাঁতের সুস্বাস্থ্য ও স্থায়িত্বের ওপর ফসফরাস এর প্রভাব রয়েছে অনেক খানি।বয়স জনিত হাড় দাঁতের সমস্যার তৈরি হওয়ার থেকে রক্ষা করতে ফসফরাস কার্যকরী।
পুষ্টির ঘাটতি দূর করে :
বাদামে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ছয়গ্রাম প্রোটিন ১৪ গ্রাম ফ্যাট ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম।সব করাতে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শক্তি বাড়াই:
প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম খাওয়া শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এর মধ্যে থাকা কপানও রিবোফ্লাবিন ম্যাঙ্গানিজ,এইটা বিপাক প্রক্রিয়া ও ভালোভাবে হতে ও সাহায্য করে।
কী পরিমাণে বাদাম খেতে পারবেন
কাঠবাদামের ৮০ শতাংশ চর্বি আছে। সেজন্য চর্বি হজম হতে সময় লাগে। বেশি পরিমাণের খেলে বদহজ, পেট ফাঁপা এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে। তাই প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ টি বাদাম খেতে পারবেন।
গর্ভবতীর জন্য উপকারী
কাঠবাদামে রয়েছে এক ফলিড অ্যাসিড যা মাকে যে কোনো জন্মগত ত্রুটি থেকে রক্ষা করে। ফলিক এসিড সুস্থ কোষের বৃদ্ধির বিকাশে একটি অ্যাসিড সুস্থ কোষের বৃদ্ধি বিকাশের একটি অবিচ্ছেদ ভূমিকা পালন করে। গর্ভবতী মহিলাদের যারা বাদাম খান তারা তাদের শিশুকে যেন কোন ধরনের ত্রুটি থেকে করতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url